অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে তাহলে আজকে এ আর্টিকালটি আপনার জন্য। এছাড়াও আর্টিকেলটির মধ্যে অ্যালোভেরা দিয়ে আপনি কিভাবে চুলের যত্ন নিতে পারেন তা জানতে পারবেন। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এলোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে অ্যালোভেরা আমাদের ত্বকের যত্নে কিভাবে ব্যবহার করতে হয় জানতে পারবেন। এছাড়াও অ্যালোভেরার বিভিন্ন রকম উপকার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে তাই প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ ধৈর্য সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা

খুব অল্প দামে বাজারে অ্যালোভেরা পাওয়া যায়। অল্প দাম হলেও এই উদ্ভিদটির ব্যাপক উপকারিতা রয়েছে। অ্যালোভেরা সেবনে আমাদের দেহের নানাবিদ উপকার হয়ে থাকে। এছাড়াও ত্বক ও চুলের যত্নে অ্যালোভেরার জুড়ি নেই। নিয়মিত অ্যালোভেরা ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। দেহের প্রতিটি অঙ্গের মতো চুল একটি গুরুত্বপূর্ণ আমরা অনেকেই চুল নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগি। যেমন চুল পড়া, চুলে খুশকি হওয়া, চুলের বৃদ্ধি রোধ চুলের উজ্জ্বলতা ইত্যাদি। এ আর্টিকেলটির মধ্যে আপনি সকল কিছুর বিস্তারিত জানতে পারবেন।

অ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম

অ্যালোভেরা আমাদের জন্য একটি উপকারী উদ্ভিদ। অ্যালোভেরার বিভিন্ন গুনাগুন বা উপকারিতা রয়েছে। তাই অ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। আপনি যদি অ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে জেনে নিন। অ্যালোভেরার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার পুষ্টিগুণ যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে থাকে তাই নিয়ম মাফিক অল্প পরিমাণে অ্যালোভেরা খেতে পারেন।

অন্যান্য উদ্ভিদের তুলনায় অ্যালোভেরাতে অধিক পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। ফলে আমাদের দেহের ক্যালরি খরচ এবং ডিটক্সিফাই করতে হেল্প করে। এছাড়াও অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে মানুষের দেহের ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। আপনি চাইলে অ্যালোভেরা জুস পান করতে পারেন। খাবার গ্রহণের ১৫ মিনিট আগে এক চা চামচ অ্যালোভেরা জুস পান পারেন। 
অ্যালোভেরা রস যদি আপনি খেতে না পারেন তাহলে এটি সবজির রসের মিশিয়ে নিয়ে খেতে পারেন। অ্যালোভেরা গ্রহনের মুক্ষম উপায় হচ্ছে সকাল বেলা। যদি আপনি সকালবেলা এক চা চামচ অ্যালোভেরা রস এক গ্লাস গরম পানিতে মিশিয়ে পান করতে পারেন তাহলে সবচাইতে ভালো গুনাগুন পাবেন। আপনি যদি ওজন নিয়ে চিন্তিত হন তাহলে ওজন কমানোর জন্য অ্যালোভেরার জুসের সাথে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন এর ফলে আপনার স্বাদ মুখের স্বাদ বৃদ্ধি পাবে। 

লেবুর রস মিশিয়ে অ্যালোভেরা রস পান করতে পারেন। এই পোস্টের মাধ্যমে আমি অ্যালোভেরার খাওয়ার নিয়মের তথ্য দিয়েছি মাত্র। আপনি যদি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।

অ্যালোভেরা উপকারিতা

বডি স্ক্রাবঃ আমরা সকলেই বডি স্ক্রাবিং করতে পছন্দ করি। অ্যালোভেরা ও অলিভ তেল একত্রে মিশিয়ে নিয়ে গোসলের সময় ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। অ্যালোভেরা আমাদের ত্বকের লিপিড কোষ এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে যা শরীর থেকে ময়লা দূর করতে সাহায্য করবে।

ছ্যাঁকা লাগাতেঃ রান্নাবান্না করার সময় অসাবধানতার জন্য হাতে বা শরীরে তেল ছিটকে পড়ে। এ সময় যদি হাতের কাছে অ্যালোভেরা জেল থাকে তাহলে ছ্যাকা লাগায স্থানে লাগিয়ে দিলে সঙ্গে সঙ্গে জ্বালা বন্ধ হয়ে যাবে ফলে ফোসকা পড়ার সম্ভাবনাও থাকবে না।

সানবার্ন রোধেঃ প্রতিনিয়ত কাজের ক্ষেত্রে বাইরে বের হতে হয় এ সময় আমাদের ত্বকের ক্ষতি হয়। সানবার্ন থেকে বাঁচতে মুখ, হাত ও গলায় অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে নিলে ত্বককে আরো বেশি প্রশমিত ত্বকের বাদামী ভাব দূর করবে।

কেটে গেলেঃ আমাদের বিভিন্ন সময় কাজের ক্ষেত্রে হাত বা শরীরের অন্যান্য অংশ কেটে যায়। এই কেটে যাওয়া অংশে অ্যালোভেরা জাদুর মত কাজ করে। যদি আপনি অ্যালোভেরা জেল এর সাথে কয়েকটি ভিটামিন ই ট্যাবলেট মিশিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে বাড়িতে সংরক্ষণ করতে পারেন। ফলে সঙ্গে সঙ্গে কাঁটা স্থানে লাগিয়ে দিলে রক্ত পড়া বন্ধ হবে। অ্যালোভেরাতে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে দ্রুত রক্ত পড়া বন্ধ করে।
পায়ের যত্নে অ্যালোভেরাঃ পায়ের যত্নের জন্য আপনি অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন কারণ পায়ের যত্নে অ্যালোভেরা দারুন কাজ করে। চার টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল এর সাথে আধা চামচ ওট মিল, আধা চামচ কর্নমিল সাথে আধা চামচ বডি লোশন নিয়ে একত্রে মিশিয়ে পায়ে ব্যবহার করলে আপনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে ফলাফল দেখতে পারবেন।

মুখের ঘা দূরীকরণেঃ আপনি হয়তো অনেক সময় মুখের ঘায়ে ভুগেছেন এই মুখের ঘা দূর করার জন্য অ্যালোভেরা কাজ করে। ঘুমানোর আগে হলুদের সাথে অ্যালোভেরা জেল একত্রে মিশিয়ে মুখের ভেতরে লাগিয়ে রেখে দাঁত মাজুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখবেন আপনার মুখের ঘা আর নেই।

মৌমাছি বা বোলতা কামড়ালেঃ মৌমাছি বা বোলতা কামড়ালে আমরা অসহ্য যন্ত্রণায় ভুগি। আর এই যন্ত্রণা থেকে নিস্তার পেতে অ্যালোভেরার জেল হুল ফুটানো জায়গায় লাগিয়ে দিয়ে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করলে সেই জায়গা থেকে হুল আপনা আপনি বের হয়ে আসবে এবং ওই জায়গায় যন্ত্রনা, চুলকানি, রাস কিছু হবে না।

বাতের সমস্যা দূরীকরণেঃ আপনারা যারা বাতের সমস্যায় ভুগেন তাদের জন্য অ্যালোভেরা দারুণ কাজ করে। অ্যালোভেরার জেল যে স্থানে বাতের ব্যথা ওই স্থানের মাংসপেশীর উপরে ম্যাসাজ করলে বাত থেকে আরাম পাওয়া যায়।

আঁচিল দূর করতেঃ বর্তমানে আমরা অনেকেই আঁচিলের সমস্যা নিয়ে ভুগি। এটি আমাদের দেহের বিভিন্ন জায়গায় হয়ে থাকে। অ্যালোভেরা ব্যবহারে আঁচিল দূর করা যায়। প্রথমে দুই টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল ও পিয়াজের রস একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে আঁচিলের উপরে লাগাতে হবে এবং শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। কিছুদিন ব্যবহারের পরে আঁচিল আস্তে আস্তে ছোট হতে লাগবে এবং নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

ওজন কমাতেঃ ওজন কমাতে অ্যালোভেরা জাদুর মত কাজ করে। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানিতে দুই চামচ অ্যালোভেরা জেল গুলে খালি পেটে খেতে পারেন। তাহলে আপনার হজম ক্ষমতা ত্বরান্বিত হবে এবং দেহে অতিরিক্ত মেদ জমবে না।

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতেঃ অ্যালোভেরা সেবনে দেহের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং আমাদের দেহের উচ্চ রক্তচাপের ব্যালেন্স করতে সাহায্য করে। এই থেকে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
মুখের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা
মুখ বা ত্বকের জন্য অ্যালোভেরার বহু উপকারিতা রয়েছে। সঠিক নিয়মে অ্যালোভেরা দিয়ে ত্বকের যত্ন করলে ত্বক আরো সুন্দর ও মসৃণ।

ত্বক নরম ও মসৃণ করতেঃ আমরা খুব সহজে ও প্রাকৃতিক উপায়ে আমাদের ত্বককে ভালো রাখতে পারি। অ্যালোভেরা নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক নরম ও মসৃণ হয়। অ্যালোভেরার ভেতরের জেল মুখের ত্বকে লাগাতে হবে। এই থেকে মুখের ত্বক নরম ও মসৃণ হবে।

ত্বকের ভাজ দূরীকরণেঃ আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে দেহের বিভিন্ন অঙ্গের পরিবর্তন হয়। যার মধ্যে রয়েছে মুখের চামড়ার ভাজ পড়া। অ্যালোভেরা জেল দুই টেবিল চামচ এর সাথে এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রেখে ২০ মিনিট রাখার পরে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।

হলুদ অ্যালোভেরা ও মধুঃ আপনার ত্বককে উজ্জ্বল ও মোলায়েম করতে এই টিপসটি ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে আপনি অল্প পরিমাণ হলুদের গুঁড়া নিন, টেবিল চামচে এক চামচ অ্যালোভেরা জেল, এক চা চামচ মধু সাথে অল্প কয়েক ফোটা গোলাপজল দিন। এরপর সমস্ত উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এই প্যাকটি আপনি ত্বকে লাগান এবং ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে আপনার ত্বক ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরার সাথে টক দইঃ টক দই ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে থাকে। টেবিল চামচে ২ চামচ অ্যালোভেরা জেল তার অর্ধেক পরিমাণ টক দই মিশিয়ে নিন। আপনার ত্বক যদি শুষ্ক হয়ে থাকে তাহলে এক চা চামুচ মধু দিতে পারেন। সবকিছু ভালোভাবে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

অ্যালোভেরা ও শসাঃ আপনারা যারা ত্বক নিয়ে বেশি চিন্তিত তারা অ্যালোভেরা ও শসা ত্বকের মাস্ক হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। পরিমাণ মতো অ্যালোভেরা জেল এর সাথে কয়েক ফোঁটা শসার রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ত্বকের ময়লা, তৈলাক্ত ও ত্বকের ক্ষতিকর উপাদান পরিষ্কার করে ফেলেছে।

চুলের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা

অ্যালোভেরা রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা যার মধ্যে একটি হচ্ছে চুলের যত্নে। চুলকে ভালো রাখতে অতুলনীয় কাজ করে। আমরা অনেকেই চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগি এই আর এই সমস্যা দূরীকরণে রয়েছে অ্যালোভেরার বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা। প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে অ্যালোভেরা চুলের যত্ন করব আসুন জেনে নি
  • চুলকে ঝলমলে ও মসৃণ করতে অ্যালোভেরা জুড়ি নেই। অ্যালোভেরার জেল, মধু ও টক দই মিশিয়ে চুলে ভালোভাবে লাগান। এরপর ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট পর পানি দিয়ে চুল ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
  • আমরা অনেক সময় চুল পড়া নিয়ে ভুগি। আর চুল পড়া দূর করতে অ্যালোভেরা দারুন কাজ করে। অ্যালোভেরার জেল মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে হবে। দুই ঘন্টা পর ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে নিয়মিত করলে আপনি আপনার চুল পড়া বন্ধ করার পাশাপাশি নতুন চুল গজাবে।
  • টেবিল চামচে দুই চামচ অ্যালোভেরা জেল সাথে পেঁয়াজের রস ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। ২৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এই থেকে আপনার চুল পড়া রোধ হবে।
  • চুলকে ঝলমলে করতে এর টিপসটি ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা জেল ব্লেন্ড করে তার সঙ্গে পানি মিশিয়ে একটি বোতলে সংরক্ষণ করতে পারেন। বাইরে বের হওয়ার পূর্বে এটি চুলে ভালোভাবে স্প্রে করুন।
  • আপনার চুল কি রুক্ষ তাহলে আপনি মধু, নারিকেল তেল ও অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। এই সকল উপাদান চুলের আদ্রতা ফিরিয়ে নিয়ে আসে। দুই চামচ অ্যালোভেরার সাথে এক চামচ মধু ও দুই চামচ নারিকেল তেল ভালোভাবে মিশ্রিত করে চুলে লাগান। এভাবে ৩০ মিনিট মতো শাওয়ার ক্যাপে মাথা ঢেকে অপেক্ষা করুন। পরে শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করে নিন।
  • আমরা সবাই চুলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে চাই তাই দই ও অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন। অ্যালোভেরা জেলের সাথে দুই চামচ টক দই মিশিয়ে ভালোভাবে মাথার ত্বকে লাগান ১০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন সাথে কন্ডিশনার দিবেন অবশ্যই। এইভাবে নিয়মিত করলে দেখবেন আপনার চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

অ্যালোভেরা ও লেবু দিয়ে চুলের যত্ন

কাজের ক্ষেত্রে আমাদেরকে দিনের বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকতে হয়। এ থেকে মাথায় বিভিন্ন ধরনের ময়লা, ধুলোবালি ইত্যাদি জমা হয়। আর এইসব মাথা থেকে দূর করে চুলকে ভালো রাখতে অ্যালোভেরা ও লেবু ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। লেবু ও অ্যালোভেরার জেল মাথার খুশকি দূর করে।

একটি পাত্রে প্রথমে ভালোভাবে লেবু চিপে রস বের করে নিন। সাথে দুই টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল দিয়ে দিন। লেবুর রস ও অ্যালোভেরা জেল ভালোভাবে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। পেস্ট তৈরি করা হয়ে গেলে মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে গোসল করে ফেলুন।

অ্যালোভেরার অপকারিতা

  • আমরা সকলেই আলোভেরার বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা সম্পর্কে জানি। কিন্তু অ্যালোভেরার উপকারিতার দিকের পাশাপাশি কিছু অপকারিতা ও রয়েছে যা আমাদের সকলে জানা দরকার। অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে আমাদের ত্বক পুড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।
  • অতিরিক্ত অ্যালোভেরা ব্যবহারে এলার্জিজনিত সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • কোন সময় অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যালোভেরা ব্যবহার করা যাবে না এতে করে ত্বকে লালচে ভাব ধরতে পারে।
  • অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যালোভেরা সেবনে ডায়রিয়াজনিত সমস্যা হতে পারে।
  • গর্ভবতী মা এবং যে সকল মায়েরা বাচ্চাদের বুকের দুধ পান করাচ্ছেন তাদের ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যালোভেরা ব্যবহার করা যাবে না।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আজকের এই আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকের আর্টিকেলটির মধ্যে অ্যালোভেরার বিভিন্ন উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। চুলের যত্নে অ্যালোভেরা ভূমিকা সম্পর্কে ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন। সঠিক নিয়মে অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে ত্বক, চুলের যত্ন, দাঁতের যত্ন সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে। তাই আমরা সঠিক নিয়মে সব সময় অ্যালোভেরাব্যবহার করব। এছাড়াও অ্যালোভেরা বেশ কিছু অপকারিতা ও রয়েছে। তাই অ্যালোভেরা ব্যবহারের পূর্বে সর্বোচ্চ সচেতনতা অবলম্বন করব।

আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি বিন্দুমাত্র উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও অ্যালোভেরা উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন। আশা করি আজকের এই পোস্টটি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। আপনার যদি কোন মতামত এবং প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদেরকে জানাতে পারেন। আর হ্যাঁ ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে ভুলবেন না। আপনার প্রতিটা মুহূর্ত সুন্দর হোক-আসসালামু আলাইকুম

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url