সজনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

সজনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের অনেকের অজানা। আজকের এই আর্টিকেলটি সজনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে জানতে পারবেন ডাইবেটিস রোগীদের জন্য সজনে পাতার উপকারিতা।
সজনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

আর্টিকেলটির মধ্যে আরও জানতে পারবেন কিভাবে আপনি সজনে পাতার গুড়ার চা সেবন করবেন এবং এই থেকে কি কি উপকার পাবেন। সকল কিছু জানতে এই আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা

বাংলাদেশে সজনে একটি পরিচিত সবজি। যা কমবেশি সকলেরই পছন্দনীয় একটি খাবার। সজনে গ্রাম-গঞ্জে বাড়ির উঠানে হয়ে থাকে। তাই এর উৎপাদন খরচ নেই বললেই চলে। বিভিন্ন উদ্ভিদের বিভিন্ন রকম উপকারিতা রয়েছে যার মধ্যে সজনে একটি। সজনে সাধারণত সারা বছর পাওয়া যায়। বাংলাদেশে দুই থেকে তিন রকম সজনে উৎপাদন করা হয়।

দেশি-বিদেশি পুষ্টি বিজ্ঞানীরা সসজনেকে অলৌকিক বৃক্ষ বলে অভিহিত করেছেন। সজনে পাতায় ৮ রকম অত্যাবশ্যকীয় এমাইনো এসিডসহ ৩৮% আমিষ রয়েছে। যা অন্য উদ্ভিদের তুলনায় অনেক বেশি।

সজনে পাতার ব্যবহার

বাংলাদেশের সজনে পাতার শাক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আমাদের খাবার টেবিলে সজনে পাতার শাক অত্যন্ত জনপ্রিয়। সজনে পাতার বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে। সজনে শাক সাধারণত পালং শাকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হয়। মুরগির মাংসের রান্নার স্বাদ বাড়াতে সজনে শাক দেয়া হয়। এছাড়াও রয়েছে ভর্তা হিসেবে কাঁচা মরিচ, কালজিরা, রসুন ও সজনে পাতা একত্রে ভর্তা করলে একটি মজাদার ভর্তা তৈরি করা যায়। 

সজনে পাতা ছোট মাছের সাথে রান্না করলে বেশ সুস্বাদু লাগে। সজনে পাতা বড়া তৈরি করে খাওয়া যায়। সজনে পাতার সাথে বিভিন্ন ধরনের উপকরণ মিশিয়ে সবুজ রুটি বানানো যায়।

সজনে পাতার গুড়া খাওয়ার নিয়ম

সজনে পাতার আমরা বিভিন্ন উপায়ে খেয়ে থাকি। এর মধ্যে একটি উপায় গুড়া করে খাওয়া। সজনে পাতা গুঁড়ো করে খাওয়ার বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে। সজনে পাতার গুঁড়ো কিভাবে খাবেন তা নিম্নরূপ

চা এর সাথেঃ সজনে পাতা গুড়ো খাওয়ার বিভিন্ন উপায় এর মধ্যে সহজ উপায় হচ্ছে চায়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়া। সজনে পাতার গুঁড়ো চায়ের সাথে মিশালে তার সকল পুষ্টিগুণ পানির সাথে মিশে যায় এবং চায়ের সাদ্ব বৃদ্ধি করে। যা দেহের বিভিন্ন উপকারে লাগে।

শরবতের সাথেঃ শরবত বানিয়ে সজনে পাতার গুঁড়ো খাওয়া যায়। লেবু ও খাঁটি মধুর সাথে সজনে পাতা গুঁড়ো মেশালে শরবত তৈরি হয়। এই শরবত আমাদের দেহের ওজন বৃদ্ধি করে না ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
ওটমিল এর সাথেঃ আপনি চাইলে ওট মিলের সাথে সজনে পাতার গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে করে আমাদের দেহের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায়।

মসলা ব্যবহারেঃ বিভিন্ন সময় সজনে পাতার গুঁড়ো মসলা হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির জন্য মসলা হিসাবে সজনে পাতা ব্যবহার করা হয়। বেশিরভাগ সময়ে ভাজি বা আচারে মসলা হিসেবে সজনে পাতার গুঁড়ো খাওয়া যেতে পারে।

গরম ভাতেঃ সজনে পাতার গুঁড়ো গরম ভাতের সাথে মেশানো হলে ভাতের স্বাদ বৃদ্ধি পায়। যা আমাদের দেহের জন্য উপকারী।

সজনে পাতার গুঁড়া খাওয়ার উপকারিতা

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেঃ সজনে পাতার গুড়াতে থাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের দেহের শারীরিক দুর্বলতা দূর করে ও বিভিন্ন পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে।

হজমেঃ সজনে পাতার গুড়াতে আঁশ থাকে যা মানুষের দেহের যে সকল এনজাইম হজমে সহায়তা করে এদের সচল করে।

গ্যাস দূর করতেঃ আমরা অনেকেই গ্যাসের সমস্যা নিয়ে নিয়মিত ভুগি। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে আমাদের গ্যাস দূর করতে সজনে পাতার গুড়া ব্যাপক ভূমিকা রাখে।

শর্করাঃ রক্তে শর্করা পরিমাণ বেশি থাকলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয় যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের এর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ইত্যাদি। সজনে পাতার গুড়া দেশের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে।
হাড় শক্ত করেঃ প্রচুর পরিমাণ খনিজ উপাদান থাকে সজনে পাতার গুড়াতে। যার মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়াম আমাদের দেহের হাড়কে শক্ত করে। এছাড়াও হাড়ের বিভিন্ন ব্যথা নিরাময় করে।

শক্তি বৃদ্ধিতেঃ সজনে পাতার গুনতে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা মানুষের দেহের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

সজনে পাতার উপকারিতা

সজনে পাতার বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে যা আমাদের জানা প্রয়োজন। আপনি যদি সজনে পাতার উপকারিতা সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটির মাধ্যমে জেনে নিন। সজনে পাতার উপকারিতা নিম্নে দেয়া হলোঃ

শরীর ব্যথাঃ দেহের যদি কোন স্থানে ব্যথা হয় সজনের শিকড় বেটে লাগিয়ে দিলে ব্যথা ও ফোলা ভালো হয়।

কান ব্যথাঃ কান ব্যথার ক্ষেত্রে সজনের শিকড়ের রস দারুন কাজ করে। যদি কান ব্যথা হয় তাহলে সজনে শিকড়ের রস কানে দিলে ব্যথা থেকে উপশম পাওয়া যাবে।

মাথা ব্যথাঃ বর্তমানে আমরা অনেকেই মাইগ্রেনের সমস্যা নিয়ে ভুগি। প্রাকৃতিক উপায়ে মাথা ব্যথা দূর করতে সজনের আঠার সাথে দুধ মিশিয়ে খেলে মাথা ব্যথা কমে যাবে। এছাড়াও আঠা কপালে ভালোভাবে লাগিয়ে মালিশ করলে মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

ফোঁড়া সারায়ঃ দেহে ফোঁড়ার সৃষ্টি হলে সজনের আঠা দিতে হবে তাহলে খুব দ্রুত ফোঁড়া ভালো হবে।

মূত্রপাথরি ও হাঁপানিঃ মূত্র পাথরী ও হাঁপানি রোগে সজনে থেকে অনেক উপকার পাওয়া যায়। সজনে ফুলের রস দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে মূত্রপাথরি দূর হয়। ফুলের রস হাঁপানি রোগের বিশেষ উপকারী।

গ্যাস থেকে রক্ষাঃ বিভিন্ন সময় বাচ্চারা গ্যাসের সমস্যায় ভুগে। সজনে পাতার রসের সাথে অল্প পরিমাণে লবণ মিশিয়ে খেতে দিলে বাচ্চাদের পেট জমা গ্যাস ভালো করতে সাহায্য করে।
কুকুরের কামড়েঃ গ্রামগঞ্জে কুকুরের উৎপাত অনেক বেশি থাকে। কুকুরে কামড়ালে বিষ নিধানে সজনের পাতা পিষে তাতে রসুন, হলুদ, লবণ ও গোলমরিচ মিশিয়ে রোগীকে খাওয়ালে কুকুরের বিষ ধ্বংস হয়।

জ্বর ও সর্দিঃ সজনেপাতার শাক যন্ত্রণাধায়ক জ্বর ও সর্দি দূর করে

বহুমূত্র রোগঃ সজনে পাতার রসে বহুমূত্র রোগ ভালো হয়।

কোষ্ঠকাঠিন্যঃ সজনের ফুল কোষ্ঠকাঠিন্য দোষ দূর করে।

  • সজনে পাতা ভিটামিন এ রয়েছে। যা আমাদের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে।
  • সজনে ফুল দুধের সাথে রান্না করে নিয়মিত খেলে কামশক্তির বৃদ্ধি ঘটে। এর চাটনি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
  • সজনের ডাটা নিয়মিত রান্না করে খেলে বাত ব্যাথা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
  • সজনের কচি ডাটা ক্রিমিনাশক, লিভার ও প্লীহাদোষ নিবারক, প্যারালাইসিস ও টিটেনাস রোগে ভালো করতে দারুণ কাজ করে।
  • অবশতা, সায়াটিকা : সজনের বীজের তেল মালিশ করলে বিভিন্ন বাত বেদনা, অবসতা, সায়াটিকা, বোধহীনতা ও চর্মরোগ দূর হয়।
  • সাজিনা পাতার রস হৃদরোগ চিকিৎসায় কাজে লাগে।
  • দেহে রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধিতে সজনে পাতার ব্যবহার হয়।
  • পোকা কামড়ে ওই স্থানে সাজিনা পাতার রস লাগিয়ে দিলে এন্টিসেপ্টিক হিসেবে কাজ করে।
  • ক্ষতস্থান সারার জন্য সজনে পাতার পেস্ট উপকারী।
  • সজনে শরীরের প্রতিরোধক ব্যবস্থা শক্তিশালী করে। শরীর থেকে বিষাক্ত দ্রব্য, ভারি ধাতু অপসারণ এবং শরীরে রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপি নিতে সহায়তা করে।
  • সজনে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে।
  • শ্বাসকষ্ঠ, মাথা ধরা, মাইগ্রেন, আর্থাইটিস এবং চুলপড়া রোগের চিকিৎসায় ও সজনে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা

  • সজনে পাতা দেহের শর্করা পরিমাণ কমিয়ে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে বৈশিষ্ট্য তৈরি করে। সজনে পাতাতে রয়েছে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড যা দেহের শর্করা পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
  • ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কাজ করে যা সজনে পাতায় রয়েছে।
  • সজনে পাতায় রয়েছে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড দেহের ইনসুলিন নিঃসরণ বৃদ্ধি করে ও রক্তে শর্করার মাত্রা কম হয়।
  • সজনে পাতায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনির যা দেহের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এ সকল খনিজ উপাদান শর্করার মাত্রা কমায় ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • ডায়াবেটিস রোগীর সজনে পাতার গুড়া খাওয়ার নিয়ম
  • আমরা অনেকেই জানিনা সজনে পাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে কিভাবে সজনে পাতা খাবেন।
  • এক গ্লাস পানি সাথে এক চা চামচ সজনে পাতার গুঁড়ো ভালোভাবে মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে খাবেন।
  • এক গ্লাস পানি সাথে এক চা চামচ সজনে পাতার গুঁড়ো ভালোভাবে মিশিয়ে সকাল বেলা খালি পেটে খাবেন।
  • অনেকেই সকাল বেলা খালি পেটে খেতে পারেন না তাহলে দুপুরে গোসলের আগে এক গ্লাস পানিতে ২ চা চামচ সজনে পাতার গুড়া নিয়ে খেতে পারেন।
  • সজনে পাতা রান্না করে সবজি হিসেবে খেতে পারেন।

সজনে পাতার চায়ের উপকারিতা

সজনে পাতার গুঁড়ো দিয়ে চা বানিয়ে খেলে নানাবিদ উপকারিতা পাওয়া যায়। সজনে পাতার গুণতে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার ব্যাকটেরিয়া সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা। এতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে যার মধ্যে এ, বি ১, বি ২, বি ৩ ও সি রয়েছে। এছাড়াও ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম এর মত উপাদান রয়েছে সজনে পাতায়। সজনে পাতার গুঁড়ো বাজারে সহজেই কিনতে পাওয়া যায়।
  • সজনে পাতার চায়ে ক্যান্সার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে। এই চা নিয়মিত সেবন করলে পাকস্থলীর ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার ও লিভার ক্যান্সার সহ জটিল রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
  • লিভারকে ভালো রাখতে সজনে পাতার চা ব্যাপক কাজ করে। নিয়মিত সজনে পাতার চা সেবন করলে যকৃতের যে কোন ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • আমাদের খাবার তালিকায় ভাজাপোড়া সবসময়ের জন্য থাকে তাই গ্যাসের সমস্যা প্রতিনিয়ত হয়। আর এই গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনি প্রতিদিন সকালে সজনে পাতার চা খেতে পারেন।
  • সজনে পাতায় রয়েছে পটাশিয়াম। যা দেহের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ করে। নিয়মিত সজনে পাতার চা খেলে রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

সজনে বৈজ্ঞানিক নাম

প্রতিটি প্রাণী, উদ্ভিদ কুল সহ সবার স্থানীয় নামের পাশাপাশি একটি বৈজ্ঞানিক নাম আছে। যেটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। এই বৈজ্ঞানিক নাম দ্বারা বিশ্ববাজারে পরিচয় পাওয়া যায়। তেমনি সজনে গাছের একটি বৈজ্ঞানিক নাম রয়েছে যা আমাদের অনেকের অজানা। সজনে গাছের বৈজ্ঞানিক নাম হলো-
স্থানীয় নামঃ সজনে
ইংরেজি নামঃ Drumstick
বৈজ্ঞানিক নামঃ Moringa oleifera

সাজনে পাতার অপকারিতা

সজনে পাতার যেমন নানাবিধ উপকারিতা রয়েছে তেমন কিছু অপকারিতা রয়েছে। সজনে পাতা খাওয়ার সময় বিভিন্ন ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে যারা গর্ভ অবস্থায় আছেন তারা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া সজনে পাতা খাওয়া উচিত হবে না। সজনে পাতার ডালে রয়েছে বিষাক্ত উপাদান যা গর্ভাবস্থায় দেহে প্রবেশ করলে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আজকের এই আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।আর্টিকেলটির মধ্যে সজনে পাতার বিভিন্ন রকম উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এছাড়াও সজনে পাতার যে ঔষধি গুনাগুন রয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি নিয়মিত নিয়ম মেনে সজনে পাতা খেতে পারেন তাহলে বহু জটিল রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। আর অতিরিক্ত মাত্রায় কখনো সজনে পাতা খাবেন না। 

বিশেষ করে গর্ভ অবস্থায় সজনে পাতা খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন। আশা করি আজকের এই পোস্টটি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। আপনার যদি কোন মতামত এবং প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদেরকে জানাতে পারেন। আর হ্যাঁ ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে ভুলবেন না। আপনার প্রতিটা মুহূর্ত সুন্দর হোক-আসসালামু আলাইকুম

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url