আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে আপনি হয়তো অনেক জানার চেষ্টা করেছেন। আজকে এই আপনি আর্টিকেলটির মধ্যে আপনি আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়া যাবে কি না সেটিও জানানোর চেষ্টা করেছি।
আমরা অনেকেই আমাদের চুলের বিভিন্ন রকম যত্ন করে থাকি। আর্টিকেলটিতে আপনি জানতে পারবেন চুলের যত্নে আমলকির উপকারিতা। এই সকল কিছু জানতে আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন।
ভূমিকা
আমরা অনেকেই হয়তো আমলকির নাম শুনেছি কিন্তু আমলকি গুনাগুন সম্পর্কে হয়তো সঠিকভাবে জানি না। আমলকি খেলে এসিডিটির মতো সমস্যা থেকে আপনি মুক্তি পাবেন। এছাড়াও গর্ভবস্থায় মায়েদের আমলকি খাওয়ার বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে। আপনি চাইলে নিয়মিত আমলকি তেল ব্যবহার করে চুলকে ভালো রাখতে পারে না।
আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আমলকি খেলে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আমলকির রস নিয়মিত সেবনে পেটের বিভিন্ন ধরনের গোলযোগ ও বদহজম ভালো করতে সাহায্য করে। আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে সকল কিছু জানতে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আমলকি খাওয়ার নিয়ম
এখন আপনারা জানতে পারবেন আমলকি খাওয়ার বিভিন্ন নিয়ম সম্পর্কে। বিভিন্ন উপায়ে আমলকি খেতে পারেন। আমলকি খাওয়ার ধরাবাধা কোন নিয়ম নেই। আপনি চাইলে কাঁচা আমলকি ছুরির সাহায্য টুকরো টুকরো করে অল্প গরম পানিতে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ঠান্ডা করে সকালের খালি পেটে পান করতে পারেন। এছাড়াও আপনি আমলকি কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারেন এবং আমলকির রস করেও খেতে পারেন। যেহেতু আমলকিতে ভিটামিন সি রয়েছে তাই আমলকি সিদ্ধ করে খেলে এই গুনাগুনটি নষ্ট হয়ে যায়। তাই নিয়মিত আপনি একটি করে কাঁচা আমলকি খেতে পারেন।
আমলকি খাওয়ার উপকারিতা
আমলকি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সবাই কি সঠিক ভাবে জানি? উত্তর আসবে না তাই আজকেই আর্টিকেলটিতে আপনি আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও আমলকি খাওয়ার বিভিন্ন নিয়ম সম্পর্কে জানতে পাবেন। তাই আমলকি খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জেনে তা নিয়মিত খেতে পারে।
- নিয়মিত আমলকির রস সেবন করতে পারলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা ভালো হবে।
- আমলকির রস সেবনে পেটের বিভিন্ন ধরনের গোলযোগ ও বদহজম ভালো করতে সাহায্য করে।
- আপনি যদি এসিডিটির সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে আমলকির গুঁড়ো, এক গ্লাস দুধ অথবা একগ্লাস পানি এর সাথে অল্প পরিমাণে চিনি ভালোভাবে মিশিয়ে দিনে ২ বার খেতে পারেন। এর ফলে আপনার এসিডিটি কম হবে।
- আমরা অনেকেই খাবার পরে খাবার হজমের সমস্যায় ভুগে থাকি। খাবারের সঙ্গে আমলকির আচার খেলে হজমের সাহায্য করে।
- ত্বকের কালো দাগ দূর করতে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়তে খুব ভালো কাজ করে আমলকি। নিয়মিত প্রতিদিন সকালে সাথে আমলকির রস মিশিয়ে খেলে ত্বকের কালো দাগ ও উজ্জ্বলতা বাড়বে।
- আমলকির রস সেবনে আপনার দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে। আরো চোখের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে আমলকি রস কাজ করে।
- নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করতে এবং দাঁত শক্ত করতে প্রতিদিন আমলকি রস খেতে পারেন।
- আমলকি খাওয়ার উপকারিতা হিসেবে আপনার দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ছাড়াও মানসিক চাপ কমায়।
- আমলকি খেলে আপনি কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনায় মুক্তি পাওয়া যাবে।
- আমলকি দেহ ঠান্ডা রাখতে এবং পেশী মজবুত করে থাকে।
- আপনি চাইলে আপনার শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট আমলকি খাওয়ার মাধ্যমে ঝরাতে পারেন।
- আমলকি সর্দি-কাশি, পেটের পীড়া ও রক্তশূন্যতা দূর করতে খুব ভালো কাজ করে।
খালি পেটে আমলকি খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে আমলকি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের এখনো অজানা। আপনি জেনে আশ্চর্য হবেন যে আমলকিতে রয়েছে অসংখ্য ভিটামিন। আর এই সকল ভিটামিন যদি আপনি পেতে চান তাহলে অবশ্যই নিয়ম মাফিক আমলকি খেতে হবে। আপনি এই সকল কিছু জানতে পারবেন এই আর্টিকেলটিতে।
প্রথমে আপনি কাঁচা আমলকি চাকুর সাহায্যে ছোট ছোট টুকরা করে ফেলুন এরপর অল্প পরিমাণ গরম পানি নিয়ে তাতে আমলকির টুকরা গুলো দিয়ে রেখে দিন। সকালে খালি পেটে আমলকি ভেজানো পানি খেয়ে ফেলুন এবং পরবর্তীতে আমলকি টুকরাগুলো খেয়ে নিন। আমলকির রয়েছে ভিটামিন সি যা আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে।
এছাড়াও এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার শরীরকে দূষণমুক্ত রাখবে এবং বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অসুস্থতা ও মেদ/ভূড়ি কমবে। আপনার যদি ত্বকের ভাঁজ, কালো দাগ, ব্রণ এর সমস্যা থাকে তাহলে আমলকি নিয়মিত খেলে তার সমাধান হপাওয়া যাবে। এর মাধ্যমে আপনার চুল উজ্জ্বল, ঘন এবং স্বাস্থ্যকর হবে।
চুলের যত্নে আমলকির উপকারিতা
আপনি যদি স্বাস্থ্যকর ও ঝলমলে চুল পেতে চান তাহলে অবশ্যই আমলকী ব্যবহার করেন। এখন আপনি জানতে পারবেন চুলের যত্নে আমলকির বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা।
- আপনি হয়তো জেনে অবাক হবেন যে আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই। রুক্ষ-শুষ্ক চুলকে সুন্দর মসৃণ ও ঝরঝরে করতে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে আমলকীচূর্ণ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়াও মাথায় পাকা চুলের জন্য বিশেষ ভাবে উপকারী আমলকি তেল।
- আমলকিতে রয়েছে ফাইটো-নিউট্রিয়েন্ট, ভিটামিন ও খনিজ যা দেহে প্রয়োজনীয় মাত্রায় কোলাজেন প্রোটিন তৈরি করে থাকি। আর এই কোলাজেন আপনার চুলের মৃত কোষ কে নতুনভাবে প্রতিস্থাপন করবে।
- আমাদের অনেকেই খুশকি জনিত সমস্যায় ভুগে থাকি। অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি–ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আমলকিতে থাকায় মাথার ত্বক পরিষ্কার করে রাখে। এছাড়াও মাথায় খুশকি দূর করে থাকে।
- আপনি চাইলে আমলকীর রস চুলে নিয়মিত ব্যবহার করে আপনার চুলের ফলিকলগুলো শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে পারেন । এছাড়াও দ্রুত চুল বাড়তে সাহায্য করে।
- চুলের পাকা রোধ করতে নিয়মিত আমলকির রস খেতে হবে কারণ আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সাইড চুল পাকা রোধ করে।
- চুল পড়া রোধ করতে সপ্তাহে আমলকির রস দিয়ে দুই থেকে তিন দিন চুল ভালোমতো পরিষ্কার করতে হবে। ফলে চুল পড়া রোধ হবে।
- আমলকি খেলে মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং ত্বককে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- আপনি চাইলে হেয়ারপ্যাক হিসাবে চুলে আমলকি ব্যবহার করতে পারে। প্রথমে আমলকি ভালোমতো রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন এরপর নারিকেল তেল অথবা মেহেদী বা মেথির গুঁড়া একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে হেয়ার প্যাক তৈরি করে ফেলুন খুব সহজে এবং এটি তুলে ব্যবহার করতে পারেন।
- আমলকির রস চুলের জন্য খুবই উপকারী। প্রথমে আমলকী কেটে ব্লেন্ড মেশিনের সাহায্যে পানি যোগ করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এরপর ব্লেন্ড করা আমলকি সাথে লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ভালোভাবে লাগিয়ে ৩০ মিনিটের মতো রেখে দিন। ৩০ মিনিট হয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে চুল পরিষ্কার করে ফেলুন। চুলের গোড়া শক্ত করতেও আমলকির রস কাজ করে থাকে।
আমলকির তেল তৈরির নিয়ম
আমলকি তেল চুলের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমলকির তেল ব্যবহারে আপনার চুল বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি চুল ঝলমল করবে। কিন্তু আমরা অনেকে আমলকির তেল তৈরির নিয়ম সম্পর্কে জানি না। আপনি এখন জানতে পারবেন ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে আমলকি তেল তৈরি করবেন। আমলকি তেল তৈরি করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিছু উপকরণ নিতে হবে।
যার মধ্যে রয়েছে আমলকী- ১৫টি, কারি পাতা- ১/৪ কাপ, নারকেল তেল- ১/৪ কাপ, ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিবেন- ৫টি ও নারকেল তেল বা তিলের তেল । প্রথমে আপনাকে অবশ্যই আমলকি গুলো ভালোভাবে ধুয়ে শুকনা কাপড় দিয়ে সুন্দর মত মুছে নিতে হবে। ছুরির সাহায্যে আমলকি গুলোকে কেটে শাঁচ থেকে বিচি আলাদা করে ফেলে দিতে হবে।
এবার একটি ব্লেন্ড মেশিন নিয়ে কারি পাতা ও ১/৪ কাপ নারকেল তেল একত্রে নিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপর চুলার উপরে প্যান অথবা কড়াই নিয়ে তাতে দুই থেকে তিন কাপ নারিকেলের তেল দিন এবং ব্লেন্ড করা আমলকির মিশ্রণ দিয়ে দিন। অল্প তাপে প্রতিনিয়ত নাড়াতে থাকুন।
এইভাবে ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট পর মিশ্রণটির রং বদল হলে নামিয়ে ভালোমতো ঢেকে ৮ ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর পাতলা কাপড়ের সাহায্যে এটি ভালোভাবে থেকে সংরক্ষণ করুন এবং ব্যবহার করুন। এটি নিয়মিত ব্যবহারে আপনার চুল বৃদ্ধি পাবে।
আমলকির ঔষধি গুণ
আমলকি খাওয়ার বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুনাগুন রয়েছে যা আমরা অনেকেই জানিনা। এখন আপনি জানতে পারবেন আমলকির বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে। এ থেকে আপনি স্পষ্ট ধারণা পাবেন আমলকি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
- আমলকি আমাদের দেহের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রতে কাজ করে থাকে।
- বমি বমি ভাব রোধ করে।
- আমলকির নির্যাস এর সাহায্যে দীর্ঘমেয়াদী কাশি সর্দি ভালো হয়ে থাকে।
- আমলকি আমাদের দেহের হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি করে।
- মাথার ত্বক, চুল ভালো রাখতে আমলকি ব্যাপক কাজ করেন।
- অল্প বয়সে চুল পাকা রোধ করে।
- আমাদের চুলের খুশির সমস্যা আমলকি খেলে দূর হয়।
- এসিডিটির সমস্যা কমায়।
গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়া যাবে কি
গর্ভবস্থায় আমরা অনেকেই জানিনা আমলকি খাওয়া যাবে কিনা। এখন আপনাকে জানাবো গর্ভবস্থায় আমলকি খাওয়ার বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা সম্পর্কে। গর্ভবস্থায় অন্তঃসত্ত্বা দেহে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন হয়, যার ফলে অধিকাংশ সময় খাওয়ার রুচি কমে যায়। অন্তঃসত্ত্বা এই সময় টক জাতীয় ফল ও আমলকি খেতে বিশেষভাবে পছন্দ করে থাকে। আমলকি খাওয়া আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী তাই গর্ভবস্থায় আমলকি খাওয়ার বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে।
- আমলকিতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই সকল উপাদান গর্ভাবস্থায় সাধারণ জ্বর এবং মূত্রনালির সংক্রমণ রোধে করে থাকে।
- গর্ভবস্থায় মায়েদের বমি বমি ভাব আসে এই বমি বমি ভাব দূর করতে আমলকি দারুন কাজ করে।
- আমলকির রস গর্ভাবস্থায় এসিডিটির সমস্যা দূর করে।
- অনেক অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের গর্ভাবস্থায় হাত পা ফুলে যায় এই সমস্যা থেকে আমলকি খেলে মুক্তি মিলবে। আমলকির অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান হাত পা ফুলা রোধে কাজ করে।
- রক্তচাপ ঠিক থাকে আমলকি খেলে। আমলকির ভিটামিন সি দেহে রক্তনালী প্রসারিত করে ফলে রক্তচাপ বাড়ে না।
- গর্ভাবস্থায় আমলকীর জুস খেলে গর্ভস্থ শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ পর্যন্ত আর্টিকেলটির ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর্টিকেলটিতে আপনি আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এছাড়াও আপনি গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়া যাবে কি না এই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তবে অবশ্যই গর্ববস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত আমলকি খাবেন না। আমলকি অেনেক উপকারী একটি ফল। এছাড়াও আমলকিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুনাগুন।
প্রতিটি ফলের যেমন উপকারী গুনাগুন রয়েছে তেমনি অপকারিতাও রয়েছে। তাই আমরা কোন অবস্থাতেই অতিরিক্ত আমলকি খাবো না। আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি এবং আপনার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুদের সাথে আমাদের এই ওয়েবসাইট সম্পর্কে শেয়ার করবেন ও নিয়মিত ভিজিট করার জন্য উৎসাহ করবেন। আপনার প্রতিটা মুহূর্ত সুন্দর হোক-আসসালামু আলাইকুম
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url