হাঁস পালন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
হাঁস পালন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য আপনি অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন। আজকে আর্টিকেলটির মধ্যে হাঁস পালন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এছাড়াও আপনি কোন জাতের হাঁস পালন বেশি লাভজনক এটি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
হাঁস পালন করতে খুব অল্প পুঁজির প্রয়োজন হয়। অল্প পুজি ব্যবহার করে অধিক পরিমাণে লাভ করা যায়। হাঁস পালনের জন্য অর্ধেক খাবার প্রাকৃতিকভাবে আসে তাই খাবারের খরচ অনেক কম।হাঁস পালন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ভূমিকা
বাংলাদেশের আবহাওয়া হাঁস পালনের জন্য খুবই উপযোগী। হাঁসের রোগবালাই মুরগির তুলনায় অনেক কম। হাঁস প্রকৃতি হতে প্রায় অর্ধেকেরও বেশি খাবার গ্রহণ করে। তাই হাঁস পালনে ফরজ অনেক কম। দেশি মুরগি যেখানে ৫৫-৬০টি ডিম দিয়ে থাকে সেখানে হাঁস থেকে প্রায় ৯০ টি ডিম দেয়। উন্নত জাতের হাঁস বছরে ২৫০-৩০০ ডিম দিয়ে থাকে।
তাই হাঁস পালন তুলনামূলক ভাবে অনেক লাভজনক। আজকের আর্টিকেলটির মধ্যে আপনি কিভাবে হাঁস পালন করবেন সে সকল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। সকল কিছু জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন।
কোন জাতের হাঁস পালন লাভজনক
আপনি যদি হাঁস পালন করতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে হাঁসের ভালো জাত নির্বাচন করতে হবে। কেননা ভালো জাতের হাঁস ভালো ফলন দেয়। তাই আপনি এখন জানতে পারবেন কোন জাতের হাঁস পালনে বেশি লাভজনক। গ্রামের প্রায় ঘরেই হাঁস পালন করতে দেখা যায়। এসকল হাঁস আমাদেরে দেশীয় প্রজাতির। এরা সাধারণত ৫০-৬০টি ডিম বছরে দিয়ে থাকে।
কাজেই লাভজনক ভাবে হাঁস পালন করতে হলে উন্নত জাতের হাঁস নির্বাচন করা বাঞ্ছনীয়। ডিম উৎপাদনের জন্য আমাদের দেশে যে সকল হাঁস পাওয়া যায় সেগুলো হলো খাকি ক্যাম্পবেল, ইন্ডিয়ান রানার, সিলেটি মাতি ও নাগেশ্বরি। খাকি ক্যাম্পবেল ও ইন্ডিয়ান রানার বছরে ৩০০-৩২০টি ডিম দিয়ে থাকে। এসকল হাঁস ৬ মাস বয়স থেকে ২ বছর পর্যন্ত ডিম দেয়।
আর মাংসের জন্যে বিখ্যাত হাঁসগুলি হলো পিকিং, আইলেশবারি, মাসকোভি এবং সুইডেন হাঁস। মাংসের জন্য বিখ্যাত হাঁসগুলির মদ্দার ওজন হয় ৫ কেজি এবং মাদি হাঁসের ওজন ৪ কেজি। আপনি নিশ্চয়ই এখন বুঝতে পারছেন আপনি কোন জাতের হাঁস পালন করবেন। হাঁস পালন পদ্ধতিতে হাঁসের জাত নির্বাচনে আপনাকে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখতে হবে।
হাঁস পালন পদ্ধতি
আপনারা যারা মনে মনে স্থির করেছেন হাঁস পালন করবেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল। হাঁস পালন করতে হলে আপনাকে বিভিন্ন দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যাতে করে আপনার খামার সঠিকভাবে গড়ে ওঠে। এছাড়াও আপনি হাঁস কয়েক রকম ভাবে পালন করতে পারেন। যেমন বদ্ধ অবস্থায় পালন, চারণভূমিতে হাঁস পালন এছাড়াও পুকুরে সমন্বিত হাঁস ও মাছ চাষ করতে পারেন।
হাঁস পালনের ক্ষেত্রে অবশ্যই উন্নত জাতের হাঁস বাছাই করতে হবে। উন্নত জাতের হাঁস পালনে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা রয়েছে। উন্নত জাতের হাঁসের ডিম উৎপাদন বেশি হয় এছাড়াও অধিক পরিমাণে মাংস উৎপাদন করে।
হাঁসের বাচ্চা ফোটানো
মুরগি ও হাঁসের বাচ্চা একই পদ্ধতিতে ডিম থেকে ফোটানো হয় এবং পরবর্তীতে ব্রুডিং করা হয়। বাচ্চা ফোটানোর জন্য প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম উভয় পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। গ্রাম অঞ্চলে সাধারণত প্রাকৃতিক উপায়ে হাঁসের বাচ্চা ফুটানো হয়। তবে হাওর অঞ্চলে হারিকেন ও তুষ পদ্ধতি ব্যবহার করে হাঁসের বাচ্চা ফোটানোয় ব্যাপক সফলতা পাওয়া যাচ্ছে। আপনি চাইলে প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম উভয় পদ্ধতিতে হাঁসের বাচ্চা উৎপাদন করতে পারেন। প্রাকৃতিকভাবে হাঁসের বাচ্চা ফুটানোর ক্ষেত্রে খরচ নেই বললেই চলে।
হাঁসের প্রজনন
হাঁস পালনের ক্ষেত্রে আপনাকে হাঁসের প্রজনন সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। আপনি কিভাবে হাঁসের বাচ্চা উৎপাদন করবেন তা এখন জানতে পারবেন। ডিম থেকে বাচ্চা ফোটাতে হলে মাদি হাঁসের সাথে মদ্দা হাঁস রাখতে হয়। দশটি মাদি হাঁসের সাথে একটি মদ্দা হাঁস রাখলে উর্বর ডিম পাওয়া যায়। প্রতিটি ডিমের ওজন ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম হয়ে থাকে।
দেশীয় পদ্ধতিতে ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদনের জন্য একটি মুরগির সাহায্য তা দিতে হয়। একটি মুরগি ১০ টি ডিমে তা দিতে পারে। এইভাবে উৎপাদনকৃত বাচ্চাগুলো ৩/৪ দিন পানিতে না নামতে দেওয়া ঠিক নয়। ওই সময় বাচ্চা অনেক ছোট থাকে তাই পানিতে নামলে ঠাণ্ডা লাগতে পারে। হাঁসের ডিম থেকে বাচ্চা বের হতে ২৮ দিন থেকে ৩০দিন সময় নেয়।
হাঁসের ঘর তৈরির নিয়ম
হাঁস পালনের ক্ষেত্রে হাঁসের ঘর তৈরি নিয়ম সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে। এছাড়াও হাসির ঘর কোন জায়গায় নির্মাণ করলে ভালো হবে সেটিও জানা আবশ্যক। জায়গা নির্বাচন ও হাঁসের ঘরের জন্য সাধারণত খোলা, উঁচু ও রৌদ্র থাকে এমন জায়গা বাছাই করা উচিৎ। বালু, মাটি, ড্রেন কাটার সুবিধা আছে এবং ঘাস জন্মাতে না পারে এমন জায়গা নির্বাচন করা উত্তম।
ঘরের সংগে বড় গাছ বা জংগল থাকা উচিত নয়। মুরগির খামারের সন্নিকটে হাঁসের ঘরের জায়গা নির্বাচন করা ঠিক নয়। পুকুরপাড়ে কিংবা মাচা করে পানির উপর ঘর তৈরি করা যায়। ঘরের উচ্চতা ৫-৬ ফুট হলে ভাল। বাঁশ, বেত, ছন, খড় ও টিন দিয়ে ঘর তৈরি করা যায়। ইট দিয়ে পাকা ঘরও তৈরি করা যেতে পারে।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের রকমের ঘরে হাঁস পালন করা যেতে পারে, যেমন
- সেড টাইপ
- গেবল টাইপ
- সেমি গেবল টাইপ
- মনিটর টাইপ
- সেমি মনিটর টাইপ
- গোল টাইপ
হাঁস পালনের ক্ষেত্রে হাঁসের ঘরের জন্য বিভিন্ন দিক বিবেচনা করতে হয়। ঘরের আদ্রতা কেমন, ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো প্রবেশ করে কিনা এছাড়াও ঘরের লিটার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে লক্ষ্য রাখতে হয়।
তাপঃ হাসির ঘরের তাপমাত্রা সাধারণত ১২.৮ ডিগ্রি সেঃ থেকে ২৩.৯ ডিগ্রি সেঃ পর্যন্ত উত্তম। এই তাপমাত্রায় হাঁসের কোন ক্ষতি হয় না।
আর্দ্রতাঃ আজ পালনের ক্ষেত্রে আদ্রতা অত্যন্ত জরুরী। আদ্রতা ভাল থাকলে হাঁসের শারীরিক বৃদ্ধি খুব দ্রুত হয়, লোম তাড়াতাড়ি গজায় এবং ডিমের উৎপাদন খুব ভাল হয়। তাছাড়া অপ্রাকৃতিক পরিবেশ ডিম উৎপাদনে ক্ষতি করে। হাঁস সাধারণত ৭০% আর্দ্রতা সহ্য করতে পারে। ঘরের আর্দ্রতা ৭০% এর উর্ধ্বে হলে ককসিডিয়া ও কৃমির উৎপাত বাড়ে এবং হাঁসকে অস্থির অবস্থায় দেখা যায়। প্রতিকারের একমাত্র উপায় ঘরের লিটার শুকনা রাখা এবং বায়ু চলাচলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা।
আলোঃ কৃত্রিম আলো সাধারণত হাঁস-মুরগির দৈহিক বৃদ্ধি এবং ডিম উৎপাদনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। হাঁসের বাচ্চার জন্য ঘরে অন্তত ৬ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত রাতে আলোর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এতে বাচ্চা রাতে খাদ্য বেশি খাবে এবং খুব তাড়াতাড়ি দেহের ওজন বৃদ্ধি পাবে। ডিম দেয়া হাঁসের জন্য ১৪-১৬ ঘন্টা আলো সরবরাহ ভাল। কৃত্রিম আলো ব্যবহার করার সময় সকাল অথবা বিকালে অথবা সকাল ও বিকালে ভাগ করে দিলেই চলবে। হাঁসের খামারে ৩০০ বর্গফুট জায়গার জন্য ১টি ৬০ ওয়াট বাল্ব দেয়া উত্তম। ব্রয়লার হাঁস ও মুরগির জন্য সারা রাত্রি আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে।
লিটারঃ এমন বস্তু ব্যবহার করতে হবে যেটি আর্দ্রতা শোষণ করতে পারে। লিটার হিসেবে ধানের খড়, ধানের তুষ, কাঠের গুড়া ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। লিটার অবশ্যই শুকনো অবস্থায় রাখতে হবে। আপনি যদি ধানের তুষ বা কাঠের গুড়া ব্যবহার করেন তাহলে ২-৩ ইঞ্চি পুরু লিটার করতে হয়।
হাঁসের খাবার তালিকা
সব জাতের হাঁসই উভয়ভোজী হয়ে থাকে। হাঁসের খাবারের তালিকায় আমিষ এবং শ্বেতসার দুটো খাদ্যই রাখা প্রয়োজন। বলা চলে হাঁসের খাবার হবে মুরগির খাবারের মতো একই। উল্লেখ্য যে হাঁসের সকল খাবার মুরগি গ্রহণ করতে পারেনা। হাঁস পালনের বিশেষ সুবিধা হলো হাঁস খাদ্যের প্রায় অর্ধেক জলাশয় থেকে গ্রহণ করে থাকে। এতে করে আপনার খাদ্য খরচ কম লাগবে।
হাঁস জলাশয়ের জলজ উদ্ভিদ, কীটপতঙ্গ, ছোট মাছ, শামুক, ইত্যাদি খেয়ে বেশিরভাগ সময় থাকে। তবে আপনাকে ডিম দেওয়া হাঁসের খাদ্যে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ডিম দেওয়া হাঁসের ক্ষেত্রে আমিষের পরিমাণ ১৭-১৮ শতাংশ এবং বাচ্চা হাঁসের ক্ষেত্রে ২১ শতাংশ রাখলে ভালো হবে। তাছাড়া স্নেহপদার্থ- ৪.৫%, তাপ বা শক্তির জন্য আঁশযুক্ত খাবার দিতে হবে- ৪.৮%, ক্যালসিয়াম- ১.৭%, ফসফরাস- ০.৮৬%।
হাঁসকে শুকনো খাবার না দিয়ে ভিজিয়ে দিলে সহজে খেতে পারে। একটি পূর্ণবয়স্ক হাঁস প্রতিদিন ১৩০-১৫০ গ্রাম খাবার গ্রহণ করে থাকে। হাঁসের সুষম খাদ্যের একটি তালিকা নিম্নে দেওয়া হলো:
এছাড়াও খাদ্যে ভিটামিন এ, বি, ডি, ই ও কে প্রতি ১০০ কেজি খাদ্যে ১০ গ্রাম হারে মিশাতে হবে।
হাঁস ও মাছের সমন্বিত চাষ কি
আপনি চাইলে জলাশয় হাঁস চাষ করতে পারেন। এতে করে হাঁস পালনের জন্য আলাদা জায়গা না থাকলে মাছ চাষের সাথে পানির উপরে মাচা করে হাঁস চাষ করা যায়। একে সমন্বিত হাঁস ও মাছ চাষ বলে। পুকুরে সমন্বিত হাঁস ও মাছ করলে মাছ ও হাঁসের উভয়ের বাড়তি খাবারের প্রয়োজন হয় না। সমন্বিত হাঁস ও মাছ চাষের সুবিধা গুলো হলো-
- হাঁসের ঘরের জন্য আলাদা জায়গার প্রয়োজন হয় না।
- হাঁসের খাবারের যে অপচয় হয় তা মাছের খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয় ফলে।
- খাদ্য খরচ কম লাগে।
- একই ব্যক্তি হাঁস ও মাছের দেখাশুনা করতে পারেন।
- মাছের জন্য যে সকল জলজ ক্ষতিকর প্রাণী থাকে সেগুলো হাঁস খেয়ে ফেলে।
হাঁসের টিকাদান কর্মসূচি
আপনি হাঁস করতে চাইলে হাঁসের সঠিক সময় টিকা প্রদান করতে হবে। টিকা হলো কোন জীবাণুঘটিত রোগের সুনির্দিষ্ট জীবাণু যা জীবিত বা মৃত অথবা জীবাণু থেকে নেওয়া দ্রব্যের থেকে তৈরি এবং ঐ নির্দিষ্ট জীবাণু কর্তৃক সৃষ্ট রোগের বিরুদ্ধে দেহে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। নিয়মিত টিকা প্রদান করলে হাঁস-মুরগিকে জীবাণুঘটিত রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা করা যায়।
টিকা প্রদান ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে যেসকল সতর্কতা বজায় রাখতে হয় তা হলো-
- উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নির্দেশিত নিয়মানুযায়ী সময়, ক্রম ও টিকার মাত্রা প্রয়োগ করতে হবে।
- কোনভাবেই হাঁসকে মেয়াদ উত্তীর্ণ টিকা প্রদান করা যাবে না।
- হাঁসের টিকা সাধারণত ২-৮ডিগ্রি সেঃ তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। পরিবহনের সময়ও এ তাপমাত্রা বজায় রাখতে হয়।
- সূর্যালোকের সংস্পর্শে টিকার গুণগত মান নষ্ট হয় তাই সূর্যোদয়ের আগে বা সূর্যাস্তের পর টিকা প্রয়োগ করা উচিত।
- অসুস্থ হাঁসকে টিকা দেওয়া যাবে না।
- টিকা ব্যবহারকারী যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত হতে হবে কিন্তু কোন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা যাবে না। রাসায়নিক পদার্থ টিকার মান নষ্ট করতে পারে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আজকের এই আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকের আর্টিকেলটির মধ্যে হাঁস পালন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনি কিভাবে খুব কম পুঁজিতে হাঁস পালন করবেন তা আশা করি ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন। এছাড়াও আর্টিকেলটির মধ্যে আপনি কোন জাতের হাঁস পালন করবেন সেটি জানতে পেরেছেন।
যেহেতু হাঁস পালন অল্প পুঁজিতে চাষ করা যায় তাই ব্যাপকভাবে লাভবান হতে পারবেন। এছাড়াও হাঁসের রোগ বালাইও কম তাই এই খাতে খরচ অনেক কম। আপনি চাইলে সমন্বিত ভাবে হাঁস ও মাছের একই সাথে চাষ করতে পারেন। এতে করে আপনার খরচের পরিমাণ অনেক কমে যাবে। এছাড়াও মাছের খাদ্য হিসেবে হাঁসের বৃষ্টা ব্যবহার করতে পারবেন। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি বিন্দুমাত্র উপকৃত হয়ে থাকেন।
তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও হাঁস পালন পদ্ধতি সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন। আশা করি আজকের এই পোস্টটি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। আপনার যদি কোন মতামত এবং প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদেরকে জানাতে পারেন। আর হ্যাঁ ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে ভুলবেন না। আপনার প্রতিটা মুহূর্ত সুন্দর হোক-আসসালামু আলাইকুম
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url