গরুর বাছুরের যত্ন সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

গরুর বাছুরের যত্ন সম্পর্কে আপনি হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন। আজকে এই আর্টিকেলটির মধ্যে গরুর বাছুরের যত্ন সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। এছাড়াও আপনি আর্টিকেলটির মধ্যে একটি গরুর বাছুরের খাদ্য তালিকা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
গরুর বাছুরের যত্ন
আপনি যদি একজন খামারি হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই নিম্নোক্ত বিষয়গুলি সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। আর্টিকেলটিতে একটি গরুর বাছুরের বাসস্থান কেমন হওয়া উত্তম এটিও সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এই সকল কিছু জানতে আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা

আপনি যদি একজন খামারি হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই গরুর বাছুরের যত্ন সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে । বাছুর জন্মের পরে কি করণীয় আছে অথবা কিভাবে আপনি গরুর বাছুরের যত্ন নিবেন সকল কিছু আর্টিকেল এর মধ্যে জানানোর চেষ্টা করেছি। বাছুর জন্মের সাথে সাথেই এমনকি কোন তারিখে গাভীকে প্রজনন করা হলো এবং সম্ভাব্য বাচ্চা প্রসবের তারিখ সম্পর্কে জানা থাকতে হবে।

প্রসবের সময় খুব সতর্কতার সহিত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যাতে বাছুর কোনভাবেই আঘাতপ্রাপ্ত না হয় বা ঠাণ্ডা না লাগে। প্রসবের জন্য পরিষ্কার কাপড়, খড়, নেকড়া ইত্যাদি গাভীর কাছাকাছি রাখতে হবে।

গরুর বাছুরের যত্ন

আমরা অনেকেই গরু পালন করে থাকি। গরু পালন করতে গিয়ে আমাদের বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আমরা হয়তো জানি না কিভাবে গরুর বাছুরের সঠিক উপায়ে যত্ন নেব। আপনি চাইলে গরুর বাছুরের নিম্নোক্ত উপায়ে যত্ন নিতে পারেন।
  • জন্মের পর বাছুরকে শুকনো, পরিষ্কার নেকড়া, চটের ব্যাগ অথবা খড়ের উপর রাখতে হবে।
  • বাছুরের নাক ও মুখমণ্ডল হতে লালা বা ঝিলি পরিষ্কার নিশ্চিত করতে হবে।
  • বাছুরের শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রয়েছে কিনা তা দেখতে হবে। যদি বাছুরের শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হয় তবে কৃরিম পদ্ধতিতে অর্থাৎ বুকের পাঁজরের হাড়ে কিছুক্ষণ পর পর আস্তে আস্তে কয়েকবার চাপ প্রয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে বাছুরের নাকে, মুখে ও নাভীতে ফুঁ দিয়েও ভাল ফল পাওয়া যায়।
  • সাধারণত জন্মের সময় বেশিভাগ বাছুরের নাভী ছিড়ে আসে আবার যেগুলোর নাভী না ছিড়ে সেগুলোর নাভী ২ ইঞ্চি রেখে কেটে ফেলতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে কাটার যন্ত্রটি জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে।
  • নাভী কাটার পর নাভীতে টিংচার আয়োডিন বা অন্যান্য যেকোন একটি জীবনাধুনাশক লাগিয়ে দিতে হবে। এতে নাভীতে মাছি বসে না এবং জীবাণু আক্রমণ করতে পারে না। ফলে ধনুষ্টংকার বা নাভী ফোলা রোগ হবার সম্ভাবনা কম থাকে।
  • এ সময় গাভী যেন তার বাছুরকে চাটতে পারে সে সুযোগ করে দিতে হবে তবে খেয়াল রাখতে হবে যে গাভী যাতে নাভী না চাটতে পারে। কারণ এটি বাছুরের নাভী ফোলা রোগের অন্যতম প্রধান কারণ।
  • বাছুরের শরীর দ্রুত মুছে শুকনো করার ব্যবস্থা করতে হবে। এ অবস্থায় বাছুরকে পানি দিয়ে ধৌত করা উচিত হবে না। কারণ, পানির সংস্পর্শে আসলে বাছুরের ঠাণ্ডা লাগার সম্ভাবনা থাকে এছাড়াও বাছুরের নানা ধরনের রোগের উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
  • জন্মের ১ ঘণ্টার মধ্যে বাছুর উঠে দাঁড়ায় এবং দুধ খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়। এ সময় বাছুরকে দুধ খাওয়ার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। একবার প্রশিক্ষণ দিলে পরবর্তীতে বাছুর নিজে নিজে দুধ খেতে পারে। তবে দুধ খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই গাতীর ওলান ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে কুসুম গরম পানিতে পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট মিশিয়ে গাভীর পিছনের অংশ ও ওলান ধৌতকরণের কাজ করা যেতে পারে।
  • প্রায় ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত গাভীর ওলান হতে শালদুধ পাওয়া যায়। তবে জন্মের পর দ্রুত শালদুধ খাওয়ানের ব্যবস্থা করতে হবে। মনে রাখতে হবে বাছুর শালদুধ ঠিকমত খেতে পারলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

গরুর বাছুরের বাসস্থান

সদ্য জন্ম নেয়া গরুর বাছুরের একটি উপযুক্ত বাসস্থান অত্যন্ত প্রয়োজন। যার ফলে গরুর বাছুরের যত্ন সঠিকভাবে নেয়া যাবে। একটি গরুর বাছুরের বাসস্থান কেমন হবে আপনাকে এখন বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। একটি স্বাস্থ্যসম্মত বাসস্থান বাছুরকে রোগমুক্ত রাখার প্রধান ভূমিকা পালন করবে। বাছুরকে রোগমুক্ত রাখার জন্য তাদেরকে গাভী হতে আলাদা ঘরে রাখ উত্তম। রক্ষণাবেক্ষণ জন্য জন্মের প্রথম কিছুদিন প্রতিটি বাছুর আলাদা জায়গায় রাখলে রক্ষণাবেক্ষণ সহজ ভাবে করা যায়।


অনেক বাছুর একসাথে থাকলে দুর্বল বাছুরগলো আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। কারণ দুর্বলগুলো সবলদের সাথে প্রতিযোগিতা করে প্রয়োজন মত খেতে পারে না। বাছুরের অবশ্যই ঘর ঢালু, শুকনো ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া উত্তম। বাসস্থানে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের সরাসরি প্রবেশের ব্যবস্থা থাকতে হবে। গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরম ও শীতকালে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা দ্বারা বাছুরগুলো যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ঘরের মেঝেতে শুকনো খড় বা ছালার চট বিছিয়ে দিতে হবে। সবচেয়ে ভাল হয় মেঝেতে না। রেখে বাঁশ দিয়ে মাচাঁ বানিয়ে এর উপর চটের বস্তা দিলে ঠাণ্ডা লাগার সম্ভাবনা কমে যায়। গ্রামীণ পর্যায়ে বাঁশ ও কাঠের সাহায্যে অভি সহজেই ঘর নির্মাণ করা যেতে পারে। ঘরে খাদ্য ও পরিষ্কার পানি সরবরাহের জন্য পাত্র রাখতে হবে। বাছুরের ঘর স্যাঁতস্যাঁতে ময়লা অবর্জনাময় হলে বাছুরের শ্বাসকষ্ট হয়।


বাছুরকে প্রথম তিন মাস গাভী হতে আলাদা রেখে যত্ন করলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে। সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার জন্য বাছুরকে বয়স ও লিঙ্গ ভেদে বিভিন্ন দলে ভাগ করা যায়। বাছুকে তিন সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত পৃথকভাবে ও পরের ৩ মাস বয়স পর্যন্ত ৪-৫টির দল করে পৃথকভাবে লালন পালন করা উত্তম। গাভীর ঘরের কাছাকাছি এক বছরের কম বয়সী বাছুরের ঘর ও মুক্তভাবে চলা ফেরার জন্য ঘরের কাছে উন্মুক্ত স্থান থাকলে ভালো। বাছুরের ঘরে মাঝ বরাবর পথের দু'পার্শ্বে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা ও উভয় পার্শ্বে মুক্তভাবে চলাফেরার জন্য উন্মুক্ত স্থান থাকবে।

প্রথম তিনমাস বাছুরের ঘরের জায়গার মাপঃ


বয়স (মাস)

ঘরের স্থান (বর্গমিটার)

মুক্তভাবে বিচরণের উন্মুক্ত স্থান (বর্গমিটার)

১-৩ মাস

১.৮-২.৩

০.৯-১.৮

৩-৬ মাস

২.৩-২.৮

২.৮-৩.৭

৬-৯ মাস

২.৩-২.৮

৪.৬-৫.৫

৯-১২ মাস

৩.৭-৪.৬

৫.৫-৯.২

বাছুরের খাদ্য তালিকা

গরুর বাছুরের যত্নের পাশাপাশি খাদ্যে তালিকার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। এখন আপনাদেরকে গরুর বাছুরের সঠিক খাদ্য তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। একটি বাছুরের জন্মের পর থেকে ৩ মাস পর্যন্ত যে পরিমাণ পুষ্টিসাধন করে তা পরবর্তী জীবনকালের বৃদ্ধি ও উৎপাদন তার উপর সিংহ- ভাগ নির্ভর করবে।

জন্মের তিন মাস পর্যন্ত বাছুরের দহিক ওজন দ্রুত বৃদ্ধি হতে থাকে। অবশ্যই এই সময়টাতে বাছুরকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টির চাহিদা পূরণ করাতে হবে। কারণ এই সময় বাছুরের যৌনাঙ্গের বিকাশ ঘটে। এ সময় পুষ্টি চাহিদা পূরণ না করা গেলে যৌবন প্রাপ্তি দেরীতে হয় যার ফলে গর্ভধারণ ও বাচ্চা উৎপাদন কমে যায়। অনেক ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় পুষ্টির অভাবে রোগাক্রান্ত হয়ে মারাও যেতে পারে।

তাই আমাদেরকে বাছুর জন্মের পর থেকেই খাদ্যের দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। একটি বাছুর জন্মের দুই ঘন্টার মধ্যেই বাছুরকে শালদুধ খাওয়ানো প্রয়োজন। এই দুধ বাছুরের অত্যন্ত পুষ্টিকর খাদ্য। এই দুধে রয়েছে বিভিন্ন রকমের উপাদান ও অ্যান্টিবডি যা বাছুরকে বিভিন্ন প্রকার রোগ-বালাই হতে রক্ষা করে। গ্রামে অনেকেই বাছুরকে শালদুধ খাওয়াতে চায় না।

শালদুধ বাছুরকে একদিকে খাদ্য চাহিদা পূরণ করে ও বাছুরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শালদুধে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি। এই দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন 'এ' যা বাছুরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বাছুরকে শাল দুধ খাওয়ালে পরিপাক তন্ত্রকে পরিষ্কার করে এবং উপযুক্তভাবে সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করে।

অবশ্যই আপনারা জন্মের ৬ মাস বয়স পর্যন্ত বাছুরকে দুধ খাওয়ানো উচিত। গ্রামের মানুষ বাছুরকে দুধ না খাইয়ে বিক্রয় করে এই থেকে বাছুর অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ৬ মাস পরে বাছুরকে দুধ না খাওয়ালেও সুষম বর্ধন এবং স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি হয় না। বাছুরকে নিয়মিত দুবেলা দুধ খেতে দিতে হবে এবং নিয়মিত একই সময়ে খাওয়াতে দুধ খাওয়াতে হবে।

বাছুরের দেড় মাস বয়স পর্যন্ত তার শারীরিক ওজনের প্রায় ১০ ভাগ হারে দুধ খাওয়ানো উত্তম। দুই সপ্তাহ পর বাচ্চাকে দুধ সরবরাহের সাথে সাথে অল্প পরিমাণ কচি গাস ও দানাদার খাদ্য খাওয়ানো উচিত। নতুবা এর হজম ক্ষমতা কমে যাবে এবং পাকস্থলির পরিপক্কপতা দেরীতে আসবে।

জন্মের পর থেকে ০৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত বাছুরের খাদ্য তালিকাঃ

বয়স (মাস)

দৈনিক

মন্তব্য

১ম

২ লিটার

শালদুধ

(ক) ১-২ ঘণ্টা বয়স থেকে ৭ দিন পর্যন্ত শালদুধ খাওয়াতে হবে। দানাদার ও খড় ঘাসের প্রয়োজন। নেই। (শরীরের ওজনের ১০% হারে দুধ খাওয়াতে হবে)


২য়

৩ লিটার

(খ) ২ সপ্তাহ পর থেকে দানাদার খাদ্য অর্থাৎ কাফ স্টার্টার (২০% আমিষ সমৃদ্ধ) এবং কিছু কচি সবুজ ঘাস বাছুরকে সরবরাহ করতে হবে।

৩-১২

৪ লিটার

(গ) ৮ সপ্তাহ বয়স থেকে দৈনিক ০.৫ কেজি দানা খাদ্য এবং ১ কেজি হারে উচ্চ মানের কচি নরম সবুজ ঘাস দিতে হবে।

১৩-১৬

৩ লিটার

(ঘ) ৪ মাস বয়সের বাছুরকে দৈনিক ০.৭৫ কেজি দানা খাদ্য এবং ৩ কেজি সবুজ কাঁচা নরম ঘাস দিতে হবে।

১৭-২০

২ লিটার

(ঙ) ৫-৬ মাস বয়সের বাছুরকে দৈনিক ১.০-১.৫ কেজি দানা খাদ্য এবং ৭ কেজি কাঁচা নরম সবুজ ঘাস সরবরাহ করা উচিত। দানা খাদ্যে আমিষের ভাগ ২০% এর কম এবং আঁশের ভাগ ১০% এর উপরে থাকবে না।

২১-২৪

১ লিটার

(চ) ৫-৬ মাস বয়সের বাছুরকে দৈনিক ১.০-১.৫ কেজি দানা খাদ্য এবং ৭ কেজি কাঁচা নরম সবুজ ঘাস সরবরাহ করা উচিত। দানা খাদ্যে আমিষের ভাগ ২০% এর কম এবং আঁশের ভাগ ১০% এর উপরে থাকবে না।


আপনি চাইলে শংকর জাতের বাছুরকে বালতিতে দুধ খাওয়ানোর অভ্যাস করতে পারেন কারণ এইভাবে দুধ খাওয়ালে স্বাস্থ্যের তেমন ক্ষতি হয় না। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে ভাসুরকে দুধ খাওয়ানোর খাওয়ানোর বাসনপত্র যেন সব সময় জীবাণুমুক্ত থাকে এবং শরীরের তাপমাত্রায় দুধ গরম করে খাওয়াতে হবে। তাপমাত্রার গরমিল হলে বাছুরের বদহজম বা পীড়া দেখা দিতে পারে।

মিল্ক রিপ্লেসারঃ ইহার বিশেষ প্রক্রিয়ায় প্রস্তুত এক প্রকার প্রাণিখাদ্য যা দুধের সমস্ত উপাদান দ্বারা গঠিত এবং দুধের পরিবর্তে ব্যবহার উপযোগী। মিল্ক রিপ্লেসার এর উপকরণগুলি নিম্নরূপ

ক্র. নং

খাদ্য উপাদান

পরিমাণ

০১

স্কিম মিল্ক পাউডার

৫৫ কেজি

০২

ছানার পানি

৩৫ কেজি

০৩

চর্বি (উদ্ভিজ্ব)

১০ কেজি

০৪

ওরিওমাইসিন

১০০০ আই, ইউ

০৬

খাদ্য প্রাণ- 'এ' এবং 'ডি

১০০০ ইউ, এস, পি


কাফ স্টার্টারঃ বাছুরের উপযোগী বিশেষ দানাদার খাদ্যের মিশণ যাতে ২০% এর অধিক পরিপাচ্য আমিষ এবং ১০% এরকম আঁশযুক্ত খাদ্য থাকে।

ক্র. নং

উপাদান

পরিমাণ

০১

তুলাবীজ (২০% ডি, পি ও ৭% আঁশ)

৩৮ কেজি

০২

ভুট্টা

৩০ কেজি

০৩

যব

১০ কেজি

০৪

ছানার গুঁড়া

১০ কেজি

০৫

গমের ভুষি

১০ কেজি

০৬

হাড়ের গুঁড়া (বিশোধিত)

১ কেজি

০৭

লবণ

১  কেজি


বাছুরের করণীয় অন্যান্য বিষয়সমূহ

  • জন্মের ১ ঘণ্টার মধ্যে বাছুরকে শালদুধ খাওয়াতে হবে এবং এটি অব্যাহত থাকতে হবে।
  • প্রাথমিক অবস্থায় বাছুরকে ঠাণ্ডা লাগতে দেয়া যাবে না, অর্থাৎ উষ্ণ স্থানে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
  • রোগাক্রান্ত পশুর সম্পর্শ থেকে দূরে রাখতে হবে।
  • নিয়মিত কৃমিনাশক খাওয়াতে হবে এবং টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
  • বাছুরের বাসস্থান ও বাসস্থানের চারপাশ পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখতে হবে। বাছুরের ঘরে মশামাছি, কুকুর, বিড়াল ও অন্যান্য বন্য জন্তুর আক্রমণ হতে রক্ষা করতে হবে।
  • কোন বাছুর মারা গেলে মাটিতে পুঁতে এর সৎকার করতে হবে

গরুর বাছুরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কত

গরুর বাছুরের যত্ন সম্পর্কে জানার পরে আপনার অবশ্যই জানা থাকা প্রয়োজন গরুর বাছুর স্বাভাবিক তাপমাত্রা কত। গরুর বাছুরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা জানা থাকলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি বাছুরের বিভিন্ন রোগ নির্ণয় করতে পারবেন। গরুর বাছুরের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা হলো ১০১.৩-১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আজকের এই আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকের আর্টিকেলটির মধ্যে গরুর বাছুরের যত্ন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনি কিভাবে খুব গরুর বাছুরের যত্ন করবেন তা আশা করি ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন। এছাড়াও আর্টিকেলটির মধ্যে বাছুরের খাদ্য তালিকা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। মূল কথা হচ্ছে একটি বাছুর জন্মের পর অবশ্যই আপনাকে ভালোভাবে যত্ন নিতে হবে। এছাড়াও জন্মের পরপরই সালদুধ খেতে দিতে হবে। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি বিন্দুমাত্র উপকৃত হয়ে থাকেন।

তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও গরুর বাছুরের যত্ন সম্পর্কে সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন। আশা করি আজকের এই পোস্টটি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। আপনার যদি কোন মতামত এবং প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদেরকে জানাতে পারেন। আর হ্যাঁ ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে ভুলবেন না। আপনার প্রতিটা মুহূর্ত সুন্দর হোক-আসসালামু আলাইকুম

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url