গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটি। গাজর একটি পুষ্টিকর সবজি যা আমাদের দেহে বিভিন্ন উপাদান সরবরাহ করে থাকে। আর্টিকেলটিতে আরো আলোচনা করা হয়েছে গাজর দিয়ে রূপচর্চা করার বিভিন্ন ধরনের ফর্মুলা।
গাজরের রয়েছে ভিটামিন এ যা আমাদের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানার জন্য ইচ্ছা পোষণ করেছেন। তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ভূমিকা
বিভিন্ন প্রকার সবজির মধ্যে গাজর। একটি সবজি হিসেবে ধরা হয় । গাজরের প্রচুর পরিমাণে। ভিটামিন থাকে যা আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত জরুরী। নিয়মিত গাজর খেলে আপনার ত্বক সুন্দর এবং লাবণ্যময় হবে। আর্টিকেলটিতে গাজর খাওয়ার উপকারিত ও অপকারিতার পাশাপাশি গাজর দিয়ে রূপচর্চা করার বিভিন্ন ফর্মুলা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
গাজর খাওয়ার উপকারিতা
বহু গুণে গুণান্বিত একটি সবজি সেটি হলো গাজর। যা আমাদের দেহের বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে। গাজর খাওয়ার বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে। এখন আমরা জানবো গাজর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেঃ চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে বিটা ক্যারোটিন প্রয়োজন আর এই বিটা ক্যারোটিন রয়েছে গাজরে। আপনি যদি পূর্বে গাজর না খেয়ে থাকেন তাহলে এখন থেকে গাজর খাওয়া শুরু করে দিন। বিটা ক্যারোটিন যা আপনার লিভারে গিয়ে ভিটামিন-এ তে বদলে যায় এবং চোখের রেটিনায় গিয়ে পৌঁছে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। চোখের রাতের বেলায় অন্ধকারে ভালো দেখার জন্য দরকারি এমন এক ধরনের বেগুনি পিগ্মেট এর সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়ে দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে এই গাজর।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেঃ আমাদের দেহের এন্টি ক্যান্সার উপাদান রিফিলের জন্য প্রয়োজন Falcarinol এবং Falcarindiol যা গাজরে রয়েছে। তাই নিয়মিত গাজর খেলে ফুসফুস ক্যান্সার, কলোরেক্টাল ক্যান্সার এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারে হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতিদিন দেড় কাপ গাজরের রস পান করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।
লিভারের জন্য গাজরঃ ভিটামিন এ আমাদের শরীরের বিষাক্ত পদার্থ নিঃসরণ করে থাকে তাই গাজরে ভিটামিন-এ রয়েছে যা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলে আমরা রোগমুক্ত থাকতে পারি। এছাড়াও এটি লিভারের পিত্ত এবং হিমায়িত ফ্যাট কম করতে সাহায্য করে।
গাজরে দ্রবণীয় ফাইবার প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় যা আপনার লিভার এবং কোলনকে মলত্যাগের প্রক্রিয়াটিকে উদ্দীপনা দিয়ে পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন একটি করে গাজর সেবন করলে লিভারে প্রদাহ, ফোলা ভাব ও সংক্রমণ কমে যায়। লিভারের হেপাটাইটিস, সিরোসিস এবং কোলেস্টেসিসের মতো সমস্যা থেকে লিভারকে রক্ষা করে।
অ্যান্টি এজিংয়ের জন্য গাজরঃ অ্যান্টি এজিং উপাদানে কাজ করে গাজর। এতে যে বিটা ক্যারোটিন আছে তা আমাদের শরীরের ভিতরে গিয়ে অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। মেটাবলিজমের কারণে শরীরে ক্ষয়প্রাপ্ত সেলগুলিকে ঠিকঠাক হয়ে থাকে। এছাড়াও এটি এজিং সেলগুলোর গতি ধীর করে দিতে সাহায্য করে। এর ফলে আপনি ধরে রাখতে পারবেন আপনার যৌবনকে অধিক সময়ের জন্য।
সুন্দর ত্বকের জন্য গাজরঃ সুন্দর ত্বক নিয়ে ভাবছেন তাহলে আজ আজ থেকে গাজর খেতে পারেন। গাজর খাওয়ার ফলে আপনার ত্বক ভেতর থেকে আরও সুন্দর করে তুলবে। গাজরে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করবে এছাড়া ভিটামিন-এ ত্বকের ভাঁজ পড়া, কালো দাগ, ব্রণ ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করবে। যার ফলে আপনার ত্বক সুন্দর ও আপনাকে লাবণ্যময় দেখাবে।
অ্যান্টিসেপটিক হিসেবেঃ গাজরে অ্যান্টিসেপটিক এর গুনাগুন রয়েছে। সাধারণত আমরা রান্নাবান্নার কাজ করতে গেলে কেটে যায় বা পুড়ে যায় সাথে সাথে কাটা বা পোড়া স্থানে গাজরের রস লাগিয়ে দিলে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।
হৃদরোগের জন্য গাজরের উপকারিতাঃ গাজর খাওয়ার বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে যার মধ্যে এটি একটি। মানুষের হৃদপিণ্ড জনিত বিভিন্ন ধরনের অসুখ হয়ে থাকে। গাজর হৃদপিণ্ডের নানান অসুখে এটা খুব ভালো কাজ করে থাকে। এর কেরাটিন ক্যারোটিনয়েড হৃদপিণ্ডের নানা অসুখের ঔষধ হিসেবে কাজ করে। গাজরে কেরাটিন ক্যারোটিনয়েড উচ্চমাত্রায় পাওয়া যায়। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতিদিন একটি গাজর খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ৬৮% পর্যন্ত কমে যায়।
দাঁতের স্বাস্থ্যেঃ আপনি যদি সুস্থ ও সবল দাঁত চেয়ে থাকেন তাহলে গাজর খাওয়া শুরু করুন। গাজর মুখের লালা উৎপাদন বাড়ায় এবং অ্যাসিডের প্রভাবকে ভারসাম্যহীন করে তোলে। ক্ষারীয় প্রভাব মুখের ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরোধ করে। যার ফলে গহ্বর, মুখের গন্ধ এবং অন্যান্য মুখের স্বাস্থ্য সমস্যা দূরে রাখে। আর আমরা কম বেশি সবাই জানি দাঁতের জন্য ভিটামিন সি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা আপনার সংযোজন টিস্যু দাঁত ও মাড়ি ভালো রাখতে ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও গাজর আপনার দাঁত ও মুখ পরিষ্কার রাখবে। গাজরে থাকা মিনারেলস আপনার দাঁতকে মজবুত করার তুলবে।
স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতেঃ নিয়মিত গাজর খেলে আপনি এমন কিছু উপাদান আপনার মানব দেহের মধ্যে পাবেন যা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের মতে জানা গেছে যে যারা ৬ টির গাজর খেয়েছেন বা খাচ্ছেন তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি এর থেকে কম পরিমাণে কম একটি গাজর খাচ্ছেন তাদের তুলনায় অনেক কম হয়েছে। তাই আপনি যদি স্টক নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন তাহলে আপনার খাদ্য তালিকায় গাজর যোগ করতে পারেন।
কানের ব্যথার জন্যঃ আমরা সাধারণত অনেক সময় সর্দি-কাশিতে ভোগে থাকি আর এই সর্দি কাশির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে কানে ব্যথা অনুভব করি। আর এই কানের ব্যথায় গাজর দারুন কাজ করে। কলা, গাজর, আদা এবং রসুনের খোলা জল উষ্ণ গরম করে কানে ১-২ ফোঁটা লাগলে কানের ব্যথা থেকে উপশম পাওয়া যায়।
কৃমি রোগের জন্য গাজরঃ আমরা অনেকেই কৃমি জনিত সমস্যায় ভুগে থাকি বিশেষ করে শিশুরা। শিশুদের কৃমি জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে যদি আপনি একটি গাজর কেটে ২০-৪০ মিলি জুস তৈরি করবেন এবং শিশুকে পান করান। দেখবেন পেটের কৃমি থেকে মুক্তি মেলেছে।
হজম শক্তি বাড়াতেঃ গাজরে রয়েছে ফাইবার আরি ফাইবার আপনার দেহের অন্ত্রের চলা চলে সহায়তা করে থাকে। একই সাথে আপনার দেহের হজম ব্যবস্থাটি সুচারুভাবে চালাতে সাহায্য করে।
প্রিয় পাঠক উপরে উল্লেখিত আলোচনা থেকে আপনি হয়তো গাজর খাওয়ার নানাবিদ উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আমরা সাধারণত সবসময় ভালো থাকার চেষ্টা করি। আর এই ভালো থাকার জন্য আপনার খাদ্য তালিকায় গাজর যোগ করতে পারে।
গাজর খাওয়ার অপকারিতা
গাজর অনেক সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্য উপযোগী খাদ্য তাই আপনার মন চাইবে যে বেশি পরিমাণে খায়। তবে অবশ্যই অতিরিক্ত কোন খাবার গ্রহণ করা উচিত নয়। তেমনি গাজর অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়। অতিরিক্ত পরিমাণে গাজর খেলে যে সকল ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন তা নিম্নে আলোচনা করা হলো।
- পূর্বে জেনেছেন গাজরে থাকে বিটা ক্যারোটিন যা আপনার দেহের ভিটামিন এ এর ঘাটতি দূর করতে সাহায্য করে। গাজর বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে আপনার ত্বকের রঙের পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।
- আপনার যদি এলার্জিজনিত সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই পরীক্ষা করে নিবেন কারণ গাজর থেকে অ্যালার্জি হতে পারে।
- আপনি যদি ডায়াবেটিসে ভগতে থাকেন তবে, কাঁচা অবস্থায় বা সিদ্ধ করে গাজর খাবেন না। কারণ গাজরে মিষ্টির পরিমাণ বেশি থাকে। যার ফলে সুগার বা ডায়াবেটিস রোগীদের সমস্যা হতে পারে।
- অতিরিক্ত গাজর গ্রহণের ফলে ত্বকের রং হলুদ হয়ে যায় এবং শিশুরা যদি অতিরিক্ত গাজর খায় তাহলে দাঁতের ক্ষয় দেখা দিতে পারে।
- প্রচুর পরিমাণে গাজর খেলে আপনার দেহে ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, দস্তা ইত্যাদি খনিজগুলির শোষণে প্রভাব ফেলতে পারে।
- নিয়মের অতিরিক্ত কোন খাদ্য গ্রহণ করা উচিত নয় তেমনি পরিমাণ মতো গাজর গ্রহণ করলে হজম শক্তি উন্নতি করবে ঠিক তেমনি অতিরিক্ত গাজর গ্রহণের ফলে গ্যাস, ডায়রিয়া, পেট, পাকস্থলী ইত্যাদির মতো পাচনজনিত ব্যাধিগুলির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- যে সকল মায়েরা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান ও সকল মায়েদের অতিরিক্ত গাজর খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ অতিরিক্ত পরিমাণ গাজর খেলে বুকের দুধের স্বাদ পরিবর্তন হয়ে থাকে।
গাজর দিয়ে রূপচর্চা
গাজর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম এখন জানবো গাজর দিয়ে রূপচর্চা কিভাবে করতে হয়। আমরা সকলে রূপচর্চা করতে পছন্দ করি। আমরা চাই যাতে আমাদের ত্বক সব সময় ভালো থাকে। এক্ষেত্রে গাজরের ভূমিকা অনেক বেশি। চলুন এখন জেনে নেয়া যাক গাজর দিয়ে রূপচর্চা করার নিয়মসমূহ।
বহু গুণের সমৃদ্ধ গাজর দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে আপনি চাইলে সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করে আপনার ত্বককে কমলা রঙের মতোই উজ্জ্বল করে তুলতে পারেন। এই প্যাক তৈরি করতে আপনার কোন প্রকার বিরক্ত পোহাতে হবে না কারণ আপনার হাতের কাছে থাকা বিভিন্ন ধরনের উপকরণ দিয়ে তৈরি করে ফেলুন গাজরের ফেসপ্যাক।
গাজর ও মধুঃ প্রথমে আধা কাপ গাজরের পেস্ট তৈরি করুন এরপর তাতে এক চা চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে ফেলুন। মিশ্রণটি আপনার মুখ ও হাত-পায়ে লাগিয়ে কমপক্ষে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং ধুয়ে ফেলুন।
বেসন ও গাজরঃ গাজরের পেস্টের সাথে দুই চা চামচ বেসন ভালোভাবে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। মিশ্রণটি মুখে এবং হাত-পায়ে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।
শশা ও গাজরঃ সমান অনুপাতে শসার পেস্ট এবং গাজরের পেস্ট একসঙ্গে মিশ্রণ তৈরি করুন। মিশ্রণটিতে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে মিশিয়ে নিন এরপর ত্বকে মাখুন এবং ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
কমলার খোসা ও গাজরঃ আমাদের হাতের কাছের কিছু উপকরণ দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করার মধ্যে এটি একটি। প্রথমে কমলার খোসা ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে গুড়ো করে নিতে হবে এরপর গাজরের পেস্ট ও কয়েক ফোটা লেবুর রস দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। মিশ্রণটি ভালোভাবে ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
ভাত ও গাজরঃ গাজরের পেস্ট এর সাথে আধা কাপ ভাত মিশিয়ে নিন। ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
টক দই ও গাজরঃ গাজরের পেস্টের সাথে টক দই ও কয়েক ফোটা গ্লিসারিন নিয়ে একত্রে মিশ্রণ তৈরি করুন। ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
উপরিক্ত পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করলে আপনি আপনার ত্বককে সুন্দর এবং লাবণ্যময় করে তুলতে পারবেন। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে উপরিক্ত পদ্ধতি গুলোতে আপনার যদি এলার্জিজনিত সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
প্রতিদিন কতটুকু গাজর খাওয়া উচিত
প্রতিদিন কতটুকু গাজর খাওয়া উচিত এটি শুধুমাত্র নির্ভর করবে আপনার উপরে। আপনার স্বাস্থ্য কি রকম এর ওপরে নির্ভর করে প্রতিদিন কতটুকু গাজর খাওয়া যাবে। পুষ্টিগুণে ভরপুর গাজর আমরা সকলেই খাদ্য তালিকা রাখার চেষ্টা করি। গাজর বিভিন্ন রকম ভাবে খাওয়া যায়। যেমন জুস তৈরি করে, কাঁচা গাজর ইত্যাদি। নিয়মিত প্রতিদিন এক গ্লাস খালি পেটে গাজরের জুস পান করতে পারেন। এছাড়াও আপনি যদি জুস খেতে অস্বস্তি বোধ করে থাকেন তাহলে দিনে ০২ থেকে ০৩ টি কাঁচা গাজর চিবিয়ে খাবেন। ফলে আপনি প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও ভিটামিন এ পাবেন।
গাজরের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কত
আমরা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে সবসময় থাকি। তাই কোন খাবার খাওয়ার আগে তার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সম্পর্কে জেনে নিতে পারি। তেমনি গাজরের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কত এখন জানব। প্রতি ১০০ গ্রাম রান্না করা গাজরে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এর পরিমাণ ৩৯±৪ এবং গ্লাইসেমিক লোডের পরিমাণ ৩।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ পর্যন্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আর্টিক্যালটির মধ্যে আপনি গাজ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এছাড়াও আপনি আর্টিকেলটিতে প্রতিদিন কতটুকু গাজর খাওয়া উচিত, গাজর দিয়ে রূপচর্চা, গাজরের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কত সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
পরশেষে বলা যায় আপনার খাদ্য তালিকায় যদি গাজর যোগ করে না থাকেন তাহলে আজও যোগ করুন। উপরের উল্লেখিত আলোচনা থেকে কেন আপনার খাদ্য তালিকায় গাজর যোগ করবেন আশা করি সকল কিছু বুঝতে পেরেছেন। আরেকটি কথা না বললেই নয় অতিরিক্ত কোন খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন। তাই অতিরিক্ত পরিমাণ গাজর খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসার মতামত গ্রহণ করবেন।
আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি এবং আপনার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুদের সাথে আমাদের এই ওয়েবসাইট সম্পর্কে শেয়ার করবেন। নিয়মিত ভিজিট করার জন্য উৎসাহ করবেন। আপনার প্রতিটা মুহূর্ত সুন্দর হোক দেখা হবে পরবর্তী কোন আর্টিকেলে ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকুন।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url